আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্ঙ্গাাইল সদর-০৫ আসনে আওয়ামী লীগের চুড়ান্ত মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের চিঠি পেয়েছেন এই আসনের বর্তমান সাংসদ মোঃ ছানোয়ার হোসেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি পেলেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এই আসনটি জাতীয় পার্টির প্রার্থী কে ছেড়ে দেয়ার গুঞ্জন ছিলো।
এদিকে আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সারা দেশে জাতীয় পার্টির ২৯ জন প্রার্থী মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে এবং ১৩২টি আসনে লাঙ্গল প্রতীকে উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করবে।
জাতীয় পার্টির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জনের যে প্রার্থী তালিকা উল্লেখ করা হয় তাতে টাঙ্গাইল সদর-০৫ আসনে জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে করে টাঙ্গাইল সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ ছানোয়ার হেসেনের কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যপক হতাশা নেমে আসে। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনসাধারন বিভিন্নভাবে প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা ব্যপক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন।
তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চুড়ান্ত মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের চিঠি হাতে পাওয়ার পর তা তাৎক্ষনিকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ছানোয়ার হোসেনের কর্মী ও সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। টাঙ্গাইলের সাধারন নৌকার সমর্থকরাও এতে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, “আলহামদুল্লিাহ্ , শেষ পর্যন্ত নৌকায় ভোটটা দিতে পারবো তাহলে।”
এ বিষয়ে মোঃ ছানোয়ার হেসেনের ছোট ভাই মোঃ আশরাফ হোসেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কারকনিউজকে জানান যে, টাঙ্গাইল সদর-০৫ নির্বাচনী আসনের জনসাধারনের নৌকা ও ছানোয়ার ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার কারনেই শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত টাঙ্গাইলবাসীকে নিরাশ করেন নি।
তিবি আরো বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমাদের নৌকায় ভোট দেয়ার সুযোগ হয়েছে, আশাকরি শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের মানুষের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, ইনশাআল্লাহ্ সেই আস্থার প্রতিদান আমারা নৌকার বিজয়ের মাধ্যমেই দিতে পারবো।
Discussion about this post