রাজধানীর বাংলামোটরের একটি বাসা থেকে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো এক শিশুর মরদেহসহ আরেক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে তার পিতা নুরুজ্জামান কাজলকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাংলামোটরের ১৬ নম্বর লিংক রোডের ওই বাড়ির দোতলা বাসা থেকে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে কাজলকে বের করে আনা হয়। পরে সেই বাসা থেকে কাফনের কাপড়ে পেঁচিয়ে আনা হয় সাফায়েতের মরদেহ। উদ্ধার করা হয় সুরায়েতকে।
এর আগে বুধবার সকালে পুলিশ সংবাদ পায় যে, ওই বাসায় বাবা তার দুই শিশুকে ‘জিম্মি’ করে রেখেছে। এমন সংবাদে বাসাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যেরা বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। পুলিশ ও র্যাব ভেতরে ঢুকে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো এক শিশুর মরদেহ দেখতে পায়।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ওই বাসা থেকে মৃত এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অপর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শিশুটির বাবা তাকে খুন করতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
র্যাব-২–এর উপ-পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখি শিশুটির বাবা বসে আছেন। তার পাশে একজন হুজুর বসে আছেন। শিশুটিকে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো একটি টেবিলের ওপর রাখা হয়েছে।
মৃত শিশুটির নাম নূর সাফায়েত। বয়স আড়াই থেকে তিন বছর। অপর শিশুর নাম সুরায়েত। তাদের বাবার নাম নুরুজ্জামান কাজল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন কাজল। বাসায় দোয়া পড়ানোর জন্য হুজুরকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে হুজুর ওই বাসা থেকে বেরিয়ে দাবি করেন, সেখানে এক শিশু সন্তানকে অচেতন অবস্থায় দেখেছেন তিনি। বিষয়টি শাহবাগ থানার পুলিশকে জানান তিনি।
শিশুটির পিতা মাদকাসক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। এ কারণে তার স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
Discussion about this post