ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শিতলী গ্রামে শাহিন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে অনশন করছেন মাহফুজা নামে এক যুবতী। যুবতীর সাথে তার মা ও পিতাও রয়েছেন। এ ঘটনায় গোটা গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে শাহিন বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে গেছে। প্রেমিক শাহিন শিতলী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
গ্রামবাসী জানান, শাহিনের সাথে যশোরের ছানিয়নতলা গ্রামের আফিল সরদারের মেয়ে মাহফুজার কলেজ জীবন থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গভীর সম্পর্কের কারণে তারা ঢাকায় স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাসও করেছেন। কিন্তু ছেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় শাহিন বিয়ে করতে রাজি ছিল না।
প্রেমিকা মাহফুজা জানান, মাষ্টার্স পাস করার পর বিয়ে করবে বলে শাহিন তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় তিনি ও তার পিতা মাতা নিয়ে ছেলের বাড়িতে উঠেছেন।
শাহিনের পিতা নুরুল ইসলাম শনিবার সকালে জানান, হরিণাকুণ্ডু থানার পুলিশ বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বলে গেছে। আমরা ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছি সমাধানের জন্য।
হরিণাকুণ্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ইউপি মেম্বর নায়েব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে মেয়ের পরিবার নিয়ে আমরা এখন ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছি। ছেলে ঢাকা থেকে আসলেই দুই পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী বিয়ের কাজটি সমাধান করা হবে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুইবার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই পরিবারকে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বলা হয়েছে।
Discussion about this post