সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া হিরো আলম ছিলেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে। এবার মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্য দিয়ে তার এ দৌড় থেমে গেলো।
জাতীয় পার্টি থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে পরে স্বতন্ত্র হিসেবেই সাংসদ হওয়ার দৌড়ে নেমেছিলেন হিরো আলম। এবার অনিয়মের অভিযোগে বাতিল হলো হিরো আলমের মনোনয়নপত্র।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার নিয়ম মানেননি হিরো আলম। স্বতন্ত্র মনোনয়ন নিতে হলে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর প্রয়োজন। হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষর-সম্বলিত একটি তালিকা জমাও দিয়েছেন। তবে যাচাই করা দেখা গেছে সেইসব স্বাক্ষর ভুয়া। তাই তার মনোনয়পত্রটি বাতিল করে দেয়া হয়েছে।’
এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই সবকিছু করেছি। নির্বাচন কমিশন যাচাই বাছাই করেছে কিন্তু সেখানে ঘাটতি আছে। আমি আমার সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ নভেম্বর) বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
Discussion about this post