টাঙ্গাইলের বাসাইলে এসএসসি’র নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদারের সদস্য পদ বাতিল করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সমিতির নেতারা জানান, গত ১৩ অক্টোবর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সিন্ধান্ত মোতাবেক আরজু জমাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ২০ নভেম্বররের মধ্যে জুরীবোর্ডের আহবায়ক বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মিয়ার কাছে জমা দেওয়ার আহবান জানানো হয়। ২০ নভেম্ববরের মধ্যে তিনি টাকাগুলো জমা দেননি। ফলে ২১ নভেম্ববর আরজু জমাদারকে সমিতি থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়।
সমিতির নেতারা আরও জানান, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা পূর্ববর্তী সমিতির সভায় সচ্ছতার সহিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সমিতির এ সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে অবৈধ অর্থের লোভে ও সমিতির ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার জন্য লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার, গৃহ শিক্ষক আব্দুর রহিমের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পরীক্ষার নীতিমালা ভঙ্গ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষক সমিতির ভাবমূর্তী চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে।
আরজু জমাদার গৃহ শিক্ষক আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন সরবরাহ করছে। গত ১ অক্টোবর উপজেলায় একযোগে এসএসসি’র নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষা শুরু হয়। ওইদিন বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালীন ওই বিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসে। এরপর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতি জরুরি বৈঠকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরজু জমাদারের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আরজু জমাদার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে চরমভাবে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তার এ অপকর্মে সমিতি ও শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় আরজু জমাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জুরীবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরজু জমাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা না দেওয়ার কারণে সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
Discussion about this post