টাঙ্গাইলের বন্ধুসেতুর পূর্ব থানার পাথাইলকান্দি বাসস্ট্যান্ডে বাসের ভেতর এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ২নং পূর্ণবাসন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আলম খন্দকার ওরফে বিষু মিয়া (৪৫) একই এলাকার মৃত ইন্নছ খন্দকারের ছেলে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আলম খন্দকার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ ব্যাপারে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এসআই কবিরুল হক বলেন, এ ঘটনায় বাসের চালক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলো। পরে আজ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত বাসের চালক দোষ শিকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব থানা বাসস্ট্যান্ডে গত ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রতিবন্ধী নারী বাস থেকে নামছিল। এ সময় বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পরিবহনের চালক আলম মিয়া এবং সহকারি (হেলপাড়) নাজমুল হোসেন ওই নারীকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে বাস থেকে নামতে দেয়নি। এরপর বাসের হেলপাড় নাজমুল গেটে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয় এবং চালক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কান্নার আওয়াজ শুনে বাসস্ট্যান্ডের লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ বাসের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ বাসের সহকারি নাজমুলকে গ্রেফতার করতে পারলেও ধর্ষক চালক আলম খন্দকার পালিয়ে যায়। পরে নাজমুল টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুজ্জামানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর ২ সেপ্টেম্বর রাতে বাসের সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ধর্ষিত ওই নারীর বড় ভাইয়ের এক আবেদনের পেক্ষিতে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুজ্জামান তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। পরে আদালতের আদেশে ওই নারীকে পরিবারের কাছে দেয়া হয়।
Discussion about this post