মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শোডাউন বা সভা সমাবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মন্ত্রী ও এমপিদের গাড়ির পতাকা নামিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া কোনো প্রার্থী ৫-৭ জনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘তারটা আইনি বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
সচিব বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। শুধু দলীয় প্রধানরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট ফেলতে পারবেন না।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো প্রার্থী বাস ও ট্রাক মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মশাল মিছিলসহ কোনো ধরনের শোডাউন করতে পারবেন না। ইতোমধ্যে মনোনয়মপত্র জমা দেওয়ার আগে কোনো কোনো স্থানে এ ধরনের শোডাউনের তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি, এগুলো প্রতিহত এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
রিটার্নিং অফিসারদের গণমাধ্যমে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা নেই দাবি করে সচিব বলেন, ‘জনপ্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। তারা যেন কেউ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফ না করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারাও যেন কারও ব্রিফে অংশ না নেন। তবে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা না বলার বিষয়ে কোনো চিঠি দেইনি। বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তাদের বলে দেব এবং প্রয়োজনে আবার চিঠি দেব।’
ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণায় ইসির কিছু করণীয় নেই জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার বিষয়ে আমরা কিছুই বলিনি। এটা আচরণবিধিতে আনার সুযোগ নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন অপপ্রচার না হয় এ নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
Discussion about this post