অভিনব কায়দায় হাতি দিয়ে হাট-বাজার, রাস্তা ও ফুটপাতের মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজী। টাঙ্গাইলের সখীপুরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে ও পথচারীদের দাঁড় করিয়ে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতি শুঁড় দিয়ে মানুষ ও যানবাহন থামানোর কারণে ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় আকৃতির একটি হাতি। পিঠে বসে আছে ১৫ বছর বয়সের এক যুবক। যিনি হাতির শোয়ারী। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে শুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। বিনিময়ে নিচ্ছে টাকা। অপরদিকে রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে টাকা তুলছে এ হাতি ও তার শোয়ারী। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত শনিবার, রোববার ও সোমবার সখীপুর উপজেলার পৌরশহর, কালিয়া, কচুয়া, বড়চওনা, কুতুবপুর, নলুয়া বাজারসহ ঢাকা-সাগরদিঘী সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এ দৃশ্য দেখা যায়।
পথচারী লাল মিয়া বলেন, হাতিকে ১০-২০ টাকা করে দিতে হবে। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না।
বড়চওনা বাজারের ব্যবসায়ী সুজাত আলী বলেন, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। অনেক ক্রেতা দৌড়ে চলে যায়। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়।
ওই বাজারের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানায়, সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি। উদ্দেশ্য টাকা নেওয়া। আর টাকা পেলেই তা ধরিয়ে দিচ্ছে পিঠে বসা মালিকককে। এভাবেই দোকানে দোকানে সালাম দিয়ে আদায় করছে টাকা। দোকান মালিকদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি। পরে টাকা পেয়ে শুঁড় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে তার পিঠে বসা মালিককে ধরিয়ে দিচ্ছে হাতি। সেখান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে একইভাবে টাকা আদায় করছে।
এভাবে প্রতিদিন একটি হাতি প্রায় ৪/৫ হাজার টাকার আদায় করছেন। এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি বলে মনে করছে সচেতন মহল।
Discussion about this post