সোমালিয়ায় জঙ্গি হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন যাজক রয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটির আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী সোমবার (২৬ নভেম্বর) এ হামলা চালায়।
খবরে বলা হয় আল-শাবাবের এক মুখপাত্র আব্দিয়াসিস আবু মুসাব বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভিতরে হামলা চালিয়ে যাজকসহ তার ১০ জন অনুসারীকে হত্যা করা হয়। ওই যাজক আমাদের নবীকে অপমান করেছে।
আল-শাবাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই যাজক গত বছর নিজেকে নবী হিসেবে দাবী করেন।
সোমালিয়ার মুডগ অঞ্চলের গভর্নর আবদি রশিদ হাসি রয়টার্সকে বলেন, ওই যাজককে আল-শাবাব অনেকদিন থেকেই প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়া হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না।
উল্লেখ্য, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত সোমালিয়ার ইসলামপন্থি উগ্র জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব। সংগঠনটি সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুর্গম গ্রামগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে। আল-শাবাব আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ যুবক বা তরুণ। আল-শাবাবের পুরো নাম হরকত আল-শাবাব আল মুজাহিদিন। সংক্ষেপে আল-শাবাব নামেই পরিচিত।
সোমালিয়ার বিলুপ্ত ‘ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস’র চরমপন্থি যুব সংগঠন হিসেবে আল-শাবাব যাত্রা শুরু করে। ২০০৬ সালের দিকে সংগঠনটি ত্ৎপরতা শুরু করে এবং সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুসহ বিভিন্ন শহর ও বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
আল-শাবাব সৌদি অনুপ্রাণিত ইসলামের ওহাবি সংস্করণ ও সুফিবাদ আদর্শে বিশ্বাসী। সংগঠনটি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কঠোর শরিয়া আইন চালু করে। আন্তর্জাতিক জিহাদের অংশ হিসেবে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সোমালিয়াসহ আশ-পাশের অঞ্চলে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে চায়।
সোমালিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া ও উগান্ডাতে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আল-শাবাব। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র আল-শাবাবকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। যুক্তরাজ্যে এই গ্রুপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
Discussion about this post