কারকনিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গায়ে কেরোসিন বা পেট্রল ঢেলে গৃহবধূ মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার হয়নি। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে যথেষ্ট ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীর ভাষ্যমতে, এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
জানা যায়, নিহত সাথীর (২৪) শ্বশুরবাড়ির কেউই প্রতিবেশী বা শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখায় তারা নিজেরাই একঘরোয়া হয়ে পড়ে। জামাই আলম, শিশুসন্তান ইমরান (৫), ৭ মাসের শিশুকন্যা মুনতাহাসহ দেবর সজীব (২৫) ও শাশুড়ি নুরনাহার বেগমকে (৫৫) নিয়ে একঘরেই বসবাস করতেন সাথী। বাড়ির চারিদিকে টিনের বেড়া দিয়ে বাড়িটি একবারে নির্জন করে রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সাথীকে টানা দুই দিন খাবার না দিয়ে উপোস করে রাখা হয়। দুই দিন পর ২০ জুলাই ভোরে নিজের গায়ে নিজেই কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে প্রচার করা হয়।
প্রতিবেশীদের প্রশ্ন- দুই দিন না খাইয়ে আটকে রাখা হলো এরপর সে পেট্রল পেল কোথায়, এনে দিল কে, আবার একই ঘরে সবাই ঘুমালেও ঘটনাটি কিভাবে ঘটল, আগুনে পুড়ে শরীরের সর্বাঙ্গ ঝলসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে প্রতিবেশীরা চোখের পানি ফেললেও পরিবারের সদস্যরা নির্বিকার।
এদিকে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বাদী নিহতের বাবা দিনমজুর হাফিজুর রহমানের অভিযোগ, আমি হত্যা মামলা করতে চাইলেও আমার বর্ণনা ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করে আমার স্বাক্ষর নিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়। ফলে আমি পুলিশের রহস্যজনক আচরণে অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, তারা যেভাবে বলেছেন সেভাবেই লেখা হয়েছে।
Discussion about this post