দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশি স্পিনাররা সমস্যায় ফেলছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল তারা। তাইজুলের পর সাকিবের জোড়া আঘাতে ফিরেছিলেন কাইরন পাওয়েল, শাই হোপ আর কার্লোস ব্রাফেট। রোস্টন চেজ আর সুনীল আমব্রিস এরপর চেষ্টা করছিলেন প্রথম সেশনের বিপদটা কাটিয়ে ওঠার। কিন্তু অভিষিক্ত নাঈম হাসান সে সুযোগটি দিলেন না। এই অফ স্পিনার পরপর চেজ আর আমব্রিসকে তুলে নিয়ে কাজটা কঠিন করে তুলেছেন ক্যারিবীয়দের জন্য।
নাঈমের বলে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ হয়েছের চেজ আর আমব্রিস হয়েছেন এলবিডব্লু। ব্যাট হাতে দলের বিপর্যয়ের মুখে ২৬ গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান করা নাঈম তাঁর আসল কাজটি করলেন দারুণভাবেই। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৩।
এর আগে, স্পিনারদের রাজত্বেও কার্লোস ব্রাফেট আর কাইরেন পাওয়েলের ওপেনিং জুটি ধীরে-সুস্থেই এগোচ্ছিল। ২৯ রান স্কোরবোর্ডে উঠেও গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধেন তাইজুল ইসলাম। পাওয়েলকে এলবিডব্লু করে বাংলাদেশকে এনে দিলেন প্রথম সাফল্য। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বড় বিপর্যয়ে ফেলে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দলীয় ৩০ রানে বোল্ড শাই হোপ আর ৩১ রানে ব্রাফেটকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন তিনি।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আগের দিনের সঙ্গে ৯ রান যোগ করে ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৩৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ৩২৪ পর্যন্ত এগিয়ে নেয় নবম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান জুটি। এই জুটিতে আসে ৬৫ রান। তাইজুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৯ রানে। নাঈম হাসান ফেরেন ২৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছেন মুমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া ইমরুল কায়েস ৪৪ আর সাকিব ৩৪ রান করেন।
Discussion about this post