বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ কমানোকেই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেত্তেরি তালাস এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তালাস বলেছেন, ‘কার্বন ডাই অক্সাইড ও গ্রিন হাউজ গ্যাস দ্রুত কমানো ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ক্রমবর্ধিত হারে বিধ্বংসী ও বিপরীত প্রভাব ফেলছে পৃথিবীর প্রাণে।’
গ্রিন হাউজ গ্যাসের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ কমে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুযোগের জানালা প্রায় বন্ধের উপক্রম।’
জাতিসংঘের আবাহাওয়া সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দ্য গ্রিন হাউজ গ্যাস বুলেটিনে। বুলেটিনটিতে প্রাকশিল্প সময় থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে বিপজ্জনক গ্যাসের পরিমাণ নির্ধারণ করে।
চলতি বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বায়ুমণ্ডলে ৪০৫ দশমিক ৫ পিপিএম (প্রতি দশ লাখে অণুর পরিমাণ) কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪০৩ দশমিক ৩ পিপিএম এবং ২০১৫ সালে ছিল ৪০০ দশমিক ১ পিপিএম। অর্থাৎ সতর্কতা সত্ত্বেও প্রতি বছরই আশঙ্কাজনক হারে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বায়ুমন্ডলে বেড়ে চলছে।
তালাস বলেন, ‘সর্বশেষ ৩০ থেকে ৫০ লাখ বছর আগে বিশ্বে তুলনামুলকভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি ঘনিভূত ছিল, যখন তাপমাত্রা ছিল ২ থেকে ৩ ডিগ্রি উষ্ণ।’
Discussion about this post