কারকনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত গণকবর সংরক্ষণ করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তী সময়ে পরলোকগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার সমাধিস্থল সংরক্ষণ করা হবে। তবে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারা দেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
সংসদ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকার অংশ হিসেবে বর্তমানে ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভুক্ত বিজিবির শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভুক্ত শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।
জাতীয় পার্টির সাংসদ মো. রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা আছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতীতে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
Discussion about this post