মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তর্কে জড়ানোয় সিএনএনের সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টারের হোয়াইট হাউজে প্রবেশাধিকার পাস বাতিল করা হয়েছিলো। দমে যাননি অ্যাকোস্টা, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দেন।
মামলার রায়ে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) আদালত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র হোয়াইট হাউজ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক জিম অ্যাকোস্টারের হোয়াইট হাউজে প্রবেশাধিকার পাস পুনর্বহাল করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
আদালতের সেই নির্দেশ মেনে সোমবার (১৯ নভেম্বর) অ্যাকোস্টারের হোয়াইট হাউজে প্রবেশাধিকার পাস পুনর্বহাল করা হয়েছে। একইসঙ্গে, মার্কিন সরকারের পরবর্তী যে কোন সংবাদ সম্মেলন নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে তারা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন সাংবাদিক একটির বেশি প্রশ্ন করতে পারবেন না। জিম অ্যাকোস্টারকেও এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর (বুধবার) আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে উপস্থিত হয়ে সিএনএন’র হোয়াইট হাউজ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক জিম অ্যাকোস্টা অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন। এ প্রশ্ন থেকেই দুজনের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
একপর্যায়ে অ্যাকোস্টার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কর্মীদের নির্দেশ দেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে বের করে দেন এবং হোয়াইট হাউজে তার প্রবেশাধিকার কেড়ে নেন।
সেই ইস্যু ধরে স্থানীয় সময় সোমবার (১২ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও। এরা হলেন-হোয়াইট হাউসের চিফ স্টাফ জন কেলি, প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স, ডেপুটি চিফ স্টাফ ফর কমিউনিকেশন বিল সাইন, সিক্রেট সার্ভিস ডাইরেক্টর জোশেফ ক্লাঙ্কি ও সিক্রেট সার্ভিস অফিসার জন ডোয়ের।
মামলায় বলা হয়, গত সপ্তাহে প্রেস পাস স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন গণমাধ্যম আইন লঙ্ঘন করেছে। আজ সিএনএন ও অ্যাকোস্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যে কারও ওপর এই ব্যবস্থা নিতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
Discussion about this post