নির্বাচন কমিশানার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে আইনে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি।’
রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান রোববার লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।
একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি এটা করতে পারেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সাংবাদিকেরা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কিছু মনিটরিং করার ক্যাপাসিটি নাই। কেউ যদি তথ্য-প্রমাণসহ আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, আইনের মধ্যে থেকে কিছু করার থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেব।’
তিনি বলেন, ‘আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে তাহলে আমরা নিজেরা বসে কী করতে পারি, সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
তফসিল ঘোষণার পর ইসিতে দেয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা থাকে, তাহলে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেব। কারণ, হয়রানিমূলক মামলা হলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।’
নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববারের মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।
Discussion about this post