পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’টি পক্ষ। এতে দু’পক্ষেরই প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আহত হয়েছেন পুলিশেরও চার সদস্য। গোটা এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মদনপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমির গ্রুপ ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এরপর বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
স্থানীয়রা জানান, মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’টি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও একাধিকবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত সদস্য খলিল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নিজের পোল্ট্রি ফিডের দোকানে বসেছিলেন। এসময় আমির গ্রুপের আমির-সোহেলসহ অর্ধশতাধিক লোক এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রায় সবাই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে খলিলের ওপর হামলা করে। একই সময়ে শাহ আলম নামে এক হকার খলিলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও মাটিতে ফেলে কোপায় ক্যাডাররা। পরিবহন চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে মদনপুর দু’পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: বাংলানিউজএ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও খলিল গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দু’পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
গুরুতর আহতাবস্থায় খলিল মেম্বার ও শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।
Discussion about this post