বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সম্পূরক তথ্য নিয়ে আবেদনের ওপর শুনানির পর রবিবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিলো। ওইদিন সম্পূরক তথ্য দাখিলের আবেদনের পর ১৮ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রবিবার (১১ নভেম্বর) খালেদার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসাসেবা শেষ না করে বিএনপির চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়।
এছাড়া তাকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না-এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চিকিৎসার জন্য পুরনো কারাগার থেকে ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর তাকে (খালেদা জিয়া) বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
Discussion about this post