পৃথিবীর সব খাদ্যের সেরা খাদ্য দুধ। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধের শ্রেষ্ঠত্ব। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার মূল উপাদান দুধ। তাই শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই প্রয়োজন দুধ। রোগীর পথ্য হিসাবেও একে ধার্য করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু দুধে ভেজাল থাকলে লাভতো হবেই না বরং ক্ষতির যে কোনো শেষ নেই। কোথাও দুধে যোগ হচ্ছে ডিটারজেন্ট, কোথাও বা ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রভাবে তার রং করে দেওয়া হচ্ছে সাদা।
যে সব রাসায়নিক প্রতি দিন দুধে মিশছে তাতে সাধারণ অসুখবিসুখের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগের হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া দুষ্কর। দুধে যে ধরনের ভেজাল মিশছে তাতে ইউরিয়া অন্যতম। এতে কিডনিতে ইউরিয়া বেড়ে গিয়ে কিডনি নষ্ট হতে পারে। শুধু ইউরিয়াই নয়, দুধে যে পরিমাণে কস্টিক সোডা মিশছে, তাতে খাদ্যনালীতে সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া-সহ নানা অসুখ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে দুধ খাঁটি কি না তা সহজেই বুঝে যাবেন। পাঠকদের জন্য সে সব ঘরোয়া উপায়গুলো তুলে ধরা হলো-
১. একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। আর তা না হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
২. দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশেছে কার্বোহাইড্রেট।
বাড়িতেই করে ফেলুন স্টার্চ টেস্ট। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ লবন মেশান। যদি লবনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
৩. দুধে ফরমালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে এর মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি নীল রং হয়, তবে ফরমালিন আছে।
৪. দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় একটু কঠিন। তবে একান্তই বুঝতে চাইলে এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমান নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।
৫. দুধের সমান পানি মেশান একটি শিশিতে। এবার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক ফেনা হলেই বুঝবেন, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।
Discussion about this post