মাঠজুড়ে সোনালি ধান। আমন ধানের সোঁদা গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীণ জনপদ। কেউ কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির উঠোনে। এরপর কৃষকের আঙিনায় ধানের ছড়াছড়ি, গোলাভরা ধান এবং ধান থেকে চাল। দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষকদের। মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে। মাঠে মাঠে যেন শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। আমন ধান কাটা নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এবার ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, পাজাম, আবছায়া ও স্বর্ণা ধান চাষ হয়েছে বেশি। ব্রি-৪৯ জাতের ধান অন্য জাতের ধানের জীবনকালের চেয়ে আগাম ধান পেকে যাওয়ায় ভালো ফলন হচ্ছে। এসব জাতের চাল সুস্বাদু ও চিকন হওয়ায় হাটবাজারে চাহিদা রয়েছে।
চাষিরা বলছেন, ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান ঘরে চলে আসবে। এবার প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতি মণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
উপজেলার বোয়ালী গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, এবার ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। এরপর নতুন ধানের চালের গুড়ায় ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব হবে।
ধান ব্যবসায়ী নয়া মিয়া বলেন, বাজারে সবেমাত্র ধান উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে ব্রি-৪৯ ও ব্রি-৫১ ৭শ, পাজাম সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ, আবছায়া সাড়ে ৭শ ও স্বর্ণা ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, এবার ৪৯ হাজার ৯৮০ মে.টন চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে । কৃষকরা আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে।
Discussion about this post