টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কমরেড আসলাম অরফে ভিপি আসলাম উদ্দিনের কাঠ বাগানের কাঠ গাছ কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষ এবং জোরপূর্বক জায়গা দখল করে ঘর উত্তোলণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নাগরপুর সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের কমরেড আসলাম উদ্দিনের বাড়ীর জায়গা দখল করে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলণের চেষ্টাসহ ৮৯ শতাংশ জায়গার কাঠ বাগানের প্রায় ৪০-৪৫টি বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিবেশী মো. আলমগীর হোসেন খান।
কমরেডের পরিবারের সদস্যরা বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোথাও বিচার না পেয়ে অবশেষে আসলাম উদ্দিনের ছোট বোন সানজিমা আক্তার ঝুনু বাদী হয়ে ১৩ নভেম্বর সলিমাবাদ গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন খান আলো, মো. নজরুল ইসলাম, বাবুল দেওয়ান, লাভলু দেওয়ান ও মো. মেহেদী হাসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে বিবাদী করে দঃ বিঃ ১৪৭, ৪৪৭, ৩৭৯/৪২৬/৫০৬ (।।) ও ১০৯ ধারায় মোকাম টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট নাগরপুর থানা আমলী আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিনে ঝুনুর খালাতো ভাই মো. শাহাবাদ খান বাদী হয়ে উক্ত বিবাদীদের বিবাদী করে মোকাম টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলা ও ভূক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানা যায়, সলিমাবাদ গ্রামের ভিপি আসলাম উদ্দিন সলিমাবাদ মৌজার এস এ ৯৮৯ নং খতিয়ানের সাবেক ১৪৯৬ নং দাগের ৭৯ শতাংশ জমি ওয়ারিশিয়ান সূত্রে মালিক হয়ে উক্ত জমির উপর প্রায় ১৫ বৎসর পূর্বে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ রোপন করেন। ভূমি দস্যু আলমগীর হোসেন আলোর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল গত ৭ নভেম্বর উক্ত কাঠ বাগানের ছোট বড় প্রায় ৪০-৪৫টি কাঠ গাছ কেটে উক্ত জায়গা জমি জবরদখলের চেষ্টা করে।
এ ছাড়া উক্ত বিবাদীরা একই পরিবারের সলিমাবাদ মৌজার এস এ ৭৭৫ খতিয়ান ভূক্ত ২২ ডিং কাতের দক্ষিনাংশের ১৩ ডিং ভূমি জবরদখল করে ঘর উত্তোলণের চেষ্টা করেছে।
ভূক্তভোগি পরিবারের সানজিমা আক্তার ঝুনু এ প্রতিবেদককে জানান, সলিমাবাদ মৌজার এস এ ৯৮৯ নং খতিয়ানের সাবেক ১৪৯৬ নং দাগের ৭৯ শতাংশ একই মৌজার এস এ ৭৭৫ খতিয়ান ভূক্ত ২২ ডিং কাতের দক্ষিনাংশের ১৩ ডিং ভূমি আমার নানার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় উক্ত ভূমি আমার মা এবং খালা মালিক হওয়ায় ৭৯ শতাংশ জায়গার উপর আমার বড় ভাই আসলাম উদ্দিন প্রায় ১৫ বৎসর পূর্বে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ রোপন করেন। ভূমি দস্যু আলমগীর হোসেন আলোর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল গত ৭ নভেম্বর উক্ত কাঠ বাগানের ছোট বড় প্রায় ৪০-৪৫টি কাঠ গাছ কেটে প্রায় সোয়া ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধান করে এবং এস এ ৭৭৫ খতিয়ান ভূক্ত ২২ ডিং কাতের দক্ষিনাংশের ১৩ ডিং ভূমি জবরদখল করে ঘর উত্তোলণের চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে আলোমগীর হোসেন খান আলোর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post