ক্রীড়া ডেস্ক: শক্তি, নামে-ভারে, পরিসংখ্যানে সবকিছুতেই এগিয়ে বাংলাদেশ। শুধু এগিয়েই নয়, বলা যেতে পারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফেভারিট বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম শব্দ যেটা উচ্চারণ করলেন তাতে ভয় পাইয়ে দিতে যথেষ্ট, ‘আয়ারল্যান্ড, ডেঞ্জারাস।’ এই ডেঞ্জারাস বলার পেছনে বড় কারণ থাকতে পারে আয়ারল্যান্ডের দলগত নৈপুণ্যে।
বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ড দলকে ৩-০ ব্যবধানে কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে সেই দলটিকে বিশ্বকাপে একমাত্র হারিয়েছে এই আয়ারল্যান্ডই। সেই দলটি বাংলাদেশে এসেছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট খেলতে।
পূর্ণাঙ্গ এই সিরিজের পথচলা শুরু হচ্ছে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও শেষ ওয়ানডের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। এরপর টি-টোয়েন্টিতে স্রেফ আধিপত্য বিস্তার। পারফরম্যান্সের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের।
শুধু তামিম নন, হাথুরুসিংহে চ্যালেঞ্জ দেখেন গোটা দলের, ‘অধিনায়কের! আমি মনে করি না। আমি মনে করি এটা খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং প্রত্যেকের জন্য স্কিলের দিক থেকে। ফরম্যাট টু ফরম্যাট পরিবর্তনে আপনার নিজেরও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন অ্যাপ্রোচ, মানসিকতা।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছে না বাংলাদেশ। পহেলা মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলার পর ১৪ দিনের ভেতরে আরো পাঁচটি ম্যাচ খেলেন সাকিবরা। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ।
টানা ম্যাচ খেলাকে হাথুরুসিংহে অবশ্য ভালো চোখেই দেখছেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। সেরা প্রস্তুতি নেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ম্যাচ খেলা। ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেখানে অনুশীলনের থেকেও ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি ভালো হয়। আমরা নেটে শুধুমাত্র অনুশীলন করি। কিন্তু ম্যাচেই আমাদের মূল কাজটা করতে হয়। তাতে ভালো প্রস্তুতি হয়।’
দুই দলের মুখোমুখিতে ফল হওয়া নয় ম্যাচের সাতটিতে বাংলাদেশ জিতেছে। হেরেছে দুটিতে। এবার তাদের বিপক্ষে হাথুরুসিংহের একটাই চাওয়া, ‘ছেলেদের থেকে একটাই প্রত্যাশা পারফর্ম করা। আমরা যখন ভালো খেলি তখন ম্যাচ জিতি। এবার সেই কাজটাই ওদের থেকে চাইছি।’
তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে হাথুরুসিংহের চাওয়া মাঠে নিজেদের আক্রমণাত্মক, আগ্রাসী, ক্ষুধার্ত চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা, ‘আমি ভিন্ন কিছুর জন্য তাকিয়ে থাকো। মাঠে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা। তারা কিভাবে পরিস্থিতি সামলে নেয়। পারফরম্যান্স উঠা-নামা করবে। কিন্তু মাঠে নিজেদের শারীরিক ভাষা, ফিল্ডিং, অ্যাটিটিউড যেন প্রদর্শন করতে পারে। তাহলেই আমরা সঠিক পথে থাকব।’
Discussion about this post